আজ ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং

কোটা বাতিল করে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের দাবি

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে কোটা বাতিলের দাবি জানিয়েছেন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ। ২২ এপ্রিল শুরু হতে যাওয়া এ নিয়োগ পরীক্ষা বন্ধেরও দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। রাস্তায় শুয়ে থাকার মতো কঠোর কর্মসূচিরও ইঙ্গিত দিয়েছেন তারা।

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আজ শুক্রবার সকালে ‘অধিকারবঞ্চিত বেকারসমাজ’ নামের ব্যানারে মানববন্ধন করেন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ।মানববন্ধন থেকে জানানো হয়, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে (১-১৩তম গ্রেড) প্রবেশে সব ধরনের কোটা বাতিল করে প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। সংবিধানেও নিয়োগবৈষম্য করা যাবে না বলে স্পষ্ট নির্দেশনা আছে। অথচ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগে বিশেষ বিধান সংযুক্ত করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, যা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা ও সংবিধানের সঙ্গে পুরোপুরি সাংঘর্ষিক।

হাবিবুর রহমান নামের এক চাকরিপ্রার্থী বলেন, প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিতে ৬০ শতাংশ নারী কোটা, ২০ শতাংশ শিক্ষকদের পোষ্য তথা পরিবার কোটা আর ২০ শতাংশ বিজ্ঞান কোটা রাখা হয়েছে। সংবিধানে স্পষ্ট বলা আছে, প্রতিবন্ধী, এতিম বা অনগ্রসর শ্রেণিকে বিশেষ বিবেচনায় কোটা প্রদান করা যাবে। কিন্তু সহকারী শিক্ষক নিয়োগে সেটি মানা হয়নি। অথচ শিক্ষকদের সন্তান ও স্ত্রীদের জন্য কোটা রাখা হয়েছে ২০ শতাংশ।

অধিকারবঞ্চিত বেকারসমাজের আহ্বায়ক তারেক রহমান বলেন, সহকারী শিক্ষক নিয়োগে এই বৈষম্যমূলক কোটা বাতিলে উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন করা হয়েছে। এ কোটা কেন বাতিল করা হবে না, সে বিষয়ে উচ্চ আদালত রুল জারি করেছেন। এর মধ্যেও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর নিয়োগের তৎপরতা চালাচ্ছে, যা আদালতের স্পষ্ট অবমাননা। কোটা বাতিল করে নিয়োগপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। ২২ এপ্রিলে যে পরীক্ষার তারিখ দেওয়া হয়েছে, তা স্থগিত করতে হবে।

এর পরেও পরীক্ষার তারিখ ঠিক করেছে অধিদপ্তর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ