আজ ২৮শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৩ই ডিসেম্বর, ২০২৪ ইং

শিক্ষা ক্যাডার কম্পোজিশন রুলস পরিবর্তন করে পদ জবর দখলের প্রতিবাদে কর্মবিরতি

বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার কম্পোজিশন রুলস পরিবর্তন করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ক্যাডার সিডিউলভূক্ত পদ জবর দখলের প্রতিবাদে ও বাতিলের দাবিতে এবং শিক্ষা ক্যাডারের সকল টায়ারে দ্রুত পদোন্নতির দাবীকে প্রাধান্য দিয়ে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এরই সাথে ফিডার পূর্ণ করা কর্মকর্তাদের উচ্চতর স্কেল প্রদান, স্কেল আপগ্রেডেশন, পদ সোপান সৃষ্টি, ক্যাডার তফসিলভুক্ত পদ হতে শিক্ষা ক্যাডার বহির্ভুতদের প্রত্যাহার ও ক্যাডার বৈষম্য নিরসনের দাবিতে,
১. ২৬ সেপ্টেম্বর সকল জেলায় সংবাদ সম্মেলন করবে। সম্মেলনে জেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ, সকল কলেজের অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ মহোদয়দের নেতৃত্ব প্রদানের জন্য সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে বিশেষভাবে অনুরোধ জানানোহয়েছে। স্থানীয় প্রেসক্লাব অথবা জেলার প্রধান কলেজের শিক্ষক মিলনায়তনে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করবে।
২. আগামী ০২ অক্টোবর দেশের সকল সরকারি কলেজ, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, এনসিটিবি, নায়েম, শিক্ষা বোর্ডসমূহ, আঞ্চলিক কার্যালয় ও অন্যান্য অফিসে কর্মরত শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাগণ সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করবে।
৩. সকল জেলা ইউনিট স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও বিশিষ্টজনদের শিক্ষা ক্যাডারের দাবির বিষয়ে ০৩ অক্টোবর থেকে ০৯ অক্টোবর পর্যন্ত জনসংযোগ করবে।
৪. এই সময়ের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে আগামী ১০,১১ ও ১২ অক্টোবর টানা তিনদিনের সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করবে এবং পরবর্তীতে আরো কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবে।

শিক্ষা ক্যাডার বরাবরই আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে থাকে। কিন্তু গত দশ বছরে নতুন পদসৃষ্টি বন্ধ রেখে শিক্ষা ক্যাডারকে বনসাঁইতে পরিণত করা হয়েছে। দীর্ঘ তিন বছর সকল টায়ারের একটি পদোন্নতি সম্পন্ন করা হয়নি। নানান হাস্যকর ছুঁতোয় একদিকে পদসৃষ্টি বন্ধ রাখা হয়েছে। অন্যদিকে শূন্য পদের দোহাই দিয়ে হাজার হাজার পদোন্নতি যোগ্য কর্মকর্তার পদোন্নতি বন্ধ রাখা হয়েছে, যাদের পদোন্নতি দেয়া হলে সরকারের একটি টাকাও অতিরিক্ত ব্যয় হবে না। ১৬ বিসিএস এর কর্মকর্তারা কোনো অপরাধ না করেও ৫ম গ্রেডের পদ থেকে অবসরে যাচ্ছেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় কোনো কারণ দেখানো ছাড়াই শত শত কর্মকর্তার ৬ষ্ঠ গ্রেডে সিলেকশন গ্রেড প্রাপ্তি বন্ধ রেখেছে। তাদের সিদ্ধান্তহীনতার কারণে প্রভাষকদের স্থায়ীকরণ ও সিনিয়র স্কেল পরীক্ষা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। অধ্যাপক পদ আপগ্রেডেশন, পদ সোপান বৃদ্ধিসহ শিক্ষা ক্যাডারের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধির কোনো প্রস্তাবই আলোর মূখ দেখছে না। উপরন্তু নজিরবিহীনভাবে ক্যাডারের “মাদার রুল” ক্যাডার কম্পোজিশন রুলে অবৈধভাবে পরিবর্তন আনা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ