আজ ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং

প্রকল্পে নিয়োগ পাওয়া ইউআরসি ইন্সট্রাক্টরদের সহ সুপারপদে অনুপ্রবেশ বন্ধ চান পিটিআই ইন্সট্রাক্টরগণ।

পিটিআইতে প্রকল্পে নিয়োগ পাওয়া ইউআরসি ইন্সট্রাক্টরদের পিটিআই সহকারী সুপারিনটেনডেন্ট পদে অনুপ্রবেশের  বন্ধ চান পিটিআই ইন্সট্রাক্টররা। একইসাথে ইন্সট্রাক্টরদের পিটিআই সহকারী সুপারিনটেনডেন্ট পদে শতভাগ পদোন্নতির সুযোগ দিয়ে নিয়োগ বিধিমালা সংশোধনের দাবি জানিয়েছে পিটিআই ইন্সট্রাক্টর পরিষদ।

বুধবার (৬ অক্টোবর) এ দাবিতে জেলায় জেলায় ডিসিদের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর স্মারকলিপি পাঠিয়েছেন পরিষদের নেতারা। পরিষদের সহসভাপতি ও মুন্সিগঞ্জ পিটিআইয়ের ইনস্ট্রাক্টর জনাব সাবিকুন্নাহার দৈনিক তারুণ্যকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।


এর আগে প্রস্তাবিত প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের গেজেটেড অফিসার ও নন গেজেটেড কর্মচারীদের নিয়োগ বিধিমালা-২০২১ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকরা। এবার পিটিআই ইন্সট্রাক্টরাও প্রস্তাবিত নিয়োগ বিধি সংশোধনের দাবি জানালেন।

পিটিআই ইন্সট্রাক্টর নেতারা বলছেন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের গেজেটেড অফিসার ও নন গেজেটেড কর্মচারীদের নিয়োগ বিধিমালা-২০২১ (প্রস্তাবিত)’ এর সংশোধনসহ পিটিআইতে প্রকল্পের নিয়োগপ্রাপ্ত ইউআরসি ইন্সট্রাক্টরদের অনুপ্রবেশ বন্ধ করে পিটিআই ইন্সট্রাক্টরদের সহকারী সুপারিনটেনডেন্ট পদে শতভাগ পদোন্নতির দাবি জানাচ্ছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবরে পাঠানো স্মারকলিপিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে। পিটিআই ইন্সট্রাক্টর পরিষদের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বুধবার দেশের ৬৭ পিটিআই থেকে একযোগে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি পেশ করা হয়েছে।

স্মারকলিপিকে বলা হয়েছে, বর্তমানে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ও তার আওতাধীন মাঠ পর্যায়ে কর্মরত কর্মচারীদের জন্য দুইটি নিয়োগ বিধিমালা প্রচলিত আছে। একটি হলো বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস রিক্রুটমেন্ট বিধিমালা-১৯৮১ (সংশোধিত ১৯৮৯), যা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা ) ক্যাডারভুক্ত কর্মচারীদের জন্য প্রযোজ্য। অপরটি হলো প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের গেজেটেড অফিসার ও নন গেজেটেড কর্মচারীদের নিয়োগ বিধিমালা-১৯৮৫, যা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের নন ক্যাডার কর্মচারীদের জন্য প্রযোজ্য। সিভিল সার্ভিস রিক্রুটমেন্ট বিধিমালা-১৯৮১ (সংশোধিত ১৯৮৯) বাতিল না করেই ক্যাডার ও ননক্যাডার নিয়োগ বিধিমালা একত্রিত করে ক্যাডার পদকে নন ক্যাডার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তাছাড়া সিভিল সার্ভিস রিক্রুটমেন্ট বিধিমালার বিভিন্ন জায়গায় পরিবর্তন করা হয়েছে, যা আইনের সাথে সাংঘর্ষিক। নেতারা মনে করছেন, এতে বিদ্যমান অনেক সুযোগ সুবিধা পেতে জটিলতা সৃষ্টি করবে।


স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, প্রস্তাবিত নিয়োগ বিধিমালা ২০২১ এ প্রশাসনিক উইং (শিক্ষা অফিস) এ ১৭৩ টি এডিপিইও পদ সৃজনের প্রস্তাব করা হয়েছে যেখানে থানা শিক্ষা অফিসার (ফিডার পদ ৫০৪) থেকে এডিপিইও পদে শতভাগ পদোন্নতির প্রস্তাব করা হয়েছে। অথচ পিটিআই ইন্সট্রাক্টরদের ক্ষেত্রে ১৩৪টি পদের বিপরীতে ৮০ শতাংশ সরাসরি পদোন্নতির বিধান রাখা হয়েছে এবং বাকি ২০ শতাংশ পদে পিটিআই বর্হিভূত ইউআরসি ইন্সট্রাক্টরদের অনুপ্রবেশের ব্যবস্থা করা হয়েছে। নতুন নিয়োগবিধিমালা প্রণয়ন করে ইউআরসি ইন্সট্রাক্টরদেরকে অন্তর্ভুক্ত করে ওই পদে পদোন্নতি দেওয়ার ইচ্ছা থেকেই এমনটি করা হচ্ছে বলে পিটিআই ইন্সট্রাক্টররা মনে করেছেন। এতে তারা হতাশা। বিষয়টিকে বৈষম্যমূলক বলে আখ্যায়িত করছেন পিটিআই ইন্সট্রাক্টররা।

নেতারা বলছেন, কোন একাডেমিক প্রতিষ্ঠানে বাইরের নন-একাডেমিক কর্মকর্তাদেরকে (যাদের একাডেমিক কাজের অভিজ্ঞতা নেই) প্রতিষ্ঠান প্রধান হিসেবে পদায়ন ও পদোন্নতি দেওয়ার নজির বাংলাদেশে নেই। প্রস্তাবিত এ নিয়োগ বিধিমালা কার্যকর হলে পিটিআইতে ১৯৯৫ খ্রিষ্টাব্দে পিটিআই ইন্সট্রাক্টর হিসেবে রাজস্বখাতে সরাসরি নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের ২০১২ খ্রিষ্টাব্দে রাজস্বখাতে নিয়মিত হওয়া ১৭ বছরের জুনিয়র ইউআরসি ইন্সট্রাক্টরদের অধীনে চাকরি করতে হবে; যা অত্যন্ত দুঃখজনক ও অনাকাঙ্খিত। তাছাড়া ২০০৬-২০০৭ খ্রিষ্টাব্দের পিএসসির সুপারিশে নিয়োগ পাওয়া পিটিআই ইন্সট্রাক্টরদেরও বঞ্চনার শিকার হতে হবে যা ‘নন ক্যাডার কর্মকর্তা ও কর্মচারী (জ্যেষ্ঠতা ও পদোন্নতি) বিধিমালা-২০১১’ এর অনুচ্ছেদ ৪(২) এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। ফলে পিটিআই পরিবারে ইন্সট্রাক্টরদের ২৭-২৮ বছরেও পদোন্নতি হবে না এর ফলে তাদের মধ্যে হতাশার কারণে বিশৃঙ্খল কর্ম পরিবেশ তৈরি হতে পারে।

এছাড়া স্মারকলিপি সব শূন্যপদে ইন্সট্রাক্টর নিয়োগের ব্যবস্থা করা ও ড.কুদরত-ই-খুদা কমিশনের সুপারিশের আলোকে পিটিআইকে কলেজের মর্যাদা দেওয়াসহ যথাযোগ্য প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার দাবিও জানানো হয়।

One response to “প্রকল্পে নিয়োগ পাওয়া ইউআরসি ইন্সট্রাক্টরদের সহ সুপারপদে অনুপ্রবেশ বন্ধ চান পিটিআই ইন্সট্রাক্টরগণ।”

  1. Ruhul Amin says:

    প্রকল্পে নিয়োগপ্রাপ্ত ইউআরসি দের পিটিআইতে সহ সুপার পদে প্রমোশন দিয়ে অনুপ্রবেশের চেস্টা চলছে- তাদের যদি সুযোগ দিতে ই হয় তাহলে ইউআরসিতে সুপার, সহ সুপার পদ তৈরী করা হোক, পিটিআইতে তাদের টেনে এনে অন্যের অধিকার তো হরণ করার মানে হয় না – প্রতিটি সেক্টরেই সাইড লাইন তৈরী করে একটা ক্যাচাল তৈরী করে রাখা হয়েছে। ভাগ কর, দখল কর, শাসন কর- প্রতিটি অফিসে এই দখলদারিত্বের নীতি, শাসনের নীতির অবসান হোক

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ