আজ ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং

ব্যাংকে লেনদেন ৯টা থেকে ৩টা, খোলা থাকবে ৫টা পর্যন্ত

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ের লক্ষ্যে আগামী বুধবার (২৪ আগস্ট) থেকে সব সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের অফিস সময় সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে। ওই‌দিন থেকে ব্যাংক চলবে সকাল ৯টা থেকে ‌বিকেল ৫টা পর্যন্ত। এসময় ব্যাং‌কের লেন‌দেন হ‌বে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত।
এখন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ব্যাংকে লেনদেন হয়। আর ব্যাংকের অফিস চলে সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।
সোমবার (২২ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকের অফ সাইট সুপারভিশন বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের লক্ষ্যে সরকার ঘোষিত পরিবর্তীত অফিস সময়সূচি অনুযায়ী পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ২৪
আগস্ট থে‌কে বাংলাদেশে কার্যরত ব্যাংক লেনদেনের সময়সূচি হবে সকাল ৯টা থে‌কে বিকেল ৩টা পর্যন্ত। লেনদেন পরবর্তী আনুষঙ্গিক অন্যান্য কার্যক্রম সম্পন্ন ক‌রে বিকেল ৫টার মধ্যে সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীর অফিস ত্যাগ করতে হবে।
এছাড়া সমুদ্র, স্থল ও বিমান বন্দর এলাকায় (পোর্ট ও কাস্টমস এলাকা) অবস্থিত ব্যাংকের শাখা, উপ-শাখা, বুথগুলো সার্বক্ষণিক খোলা রাখার বিষয়ে ৫ আগস্ট ২০১৯ এ জারি করা ডিওএস সার্কুলার লেটার নং-২৪ এর নির্দেশনা বলবৎ থাকবে।
ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করা হলো।
এর আগে দুপুরে মন্ত্রিসভার বৈঠকে থেকে নেওয়া সিদ্ধান্তের বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, দেশের সব তফসিলি ব্যাংক সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর মিটিংয়ে ছিলেন। তিনি ঘোষণা দিয়ে দেবেন, ব্যাংকগুলো সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে।
বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে জুলাই মাসের ৭ তারিখ সারা দেশে আলোকসজ্জা না করার নির্দেশনা জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেলের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির কারণে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত সারা দেশে বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান, কমিউনিটি সেন্টার, শপিং মল, দোকানপাট, অফিস ও বাসাবাড়িতে আলোকসজ্জা না করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
এরপর ওই মাসের ১৯ তারিখ থেকে সারা দেশে এলাকাভিত্তিক এক ঘণ্টা করে লোডশেডিং বা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয় কর্তৃপক্ষ। যদিও বেশিরভাগ এলাকাতেই লোডশেডিং তার চেয়ে বেশি সময় ধরে হচ্ছে।
এ‌দিকে গত মা‌সে ব্যাংকগুলোকে তেল গ্যাস বিদ্যুতের ব্যয় কমা‌নোর নির্দেশ দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
নির্দেশনায় বলা হয়, ব্যাংকগুলোকে চলতি বছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত পেট্রল, ডিজেল, অকটেন, গ্যাস, লুব্রিকেন্ট বাবদ বরাদ্দ করা অর্থের ১০ শতাংশ খরচ কমাতে হবে। আর আগামী বছরের প্রথম ছয় মাসে (জানুয়ারি-জুন) কমাতে হবে আরও ১০ শতাংশ খরচ। তাতে জ্বালানি বাবদ আগামী এক বছরে ব্যাংকগুলোকে ২০ শতাংশ খরচ কমাতে বলা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ