আজ ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং

হোয়াইট গোল্ড আজ খাতযুক্ত সোনা

উপকূলের একজন সচেতন চিংড়ি চাষীর দুঃখগাথা নিয়ে লিখেছেন – ফয়সাল আলম

বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে বড় ভূমিকা রাখায় চিংড়িকে বলা হত হোয়াইট গোল্ড বা সাদা সোনা। হ্যাঁ বলা হতো! তাহলে এখন কি অবস্থা?

অন্যান্য এলাকার শিশুরা যেমন ধানের ক্ষেতে হেটে ধান সংগ্রহ করে বেড়ে ওঠে আমরা তেমন মাছের ঘেরে পাড়ে হেটে,  মাছ ধরে বড় হয়েছি।

সেই ছোট বেলায় বাগদা চিংড়ি যতদামে বিক্রি হতে দেখেছি আজ তার চেয়ে অনেক কম দামেই বিক্রি হয়।

অন্যদিকে সবকিছুর সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে চিংড়ি চাষের খরচ?
কিন্তু কেন এমন হলো কারা এর পেছনে দায়ী?

ইউরোপে আমাদের দেশের সুস্বাদু চিংড়ির চাহিদা ছিলো গগনচুম্বী সেই সুযোগে অসাধু ব্যবসায়ীরা চিংড়ির মধ্যে  লোহার জেলি, পেরেক, গরমকরা সাগু, পানি ঢুকিয়ে ওজন বৃদ্ধি শুরু করে। এর ফলে একের পর এক বাজার হারায় বাংলাদেশের সাদাসোনা এই চিংড়ি।  আর আমাদের বাবা-চাচাদের মত চিংড়ি চাষীরা হয় ক্ষতিগ্রস্ত।

চিংড়ির দাম কমে অর্ধেক হওয়ায় দেশীয় জনগণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে চিংড়ি এসেছে সত্য কিন্তু ব্যবসায়ীদের  জোচ্চুরি, অসাধুতা থেমে থাকেনি।

তারা এখনো চিংড়ির ওজন বৃদ্ধির জন্য আগের মতই, লোহা, সাগু আর কিছু না হলেও সিরিঞ্জএর মাধ্যমে পানি দিয়ে যাচ্ছে।

তারা এতটাই ওজন বৃদ্ধি করে যে আমাদের কাছথেকে অর্থাৎ চিংড়ি চাষীদের কাছথেকে যে দামে প্রতি কেজি চিংড়ি কেনে তার চেয়ে কম দামে বিক্রি করে।

ব্যবসায়ীদের এই অসাধুতায় জনস্বাস্থ্য মারাত্মক হুমকির মধ্যে পড়ছে।

আপনারা যারা রসনাবিলাসের জন্য চিংড়ি খান(আমিও খাই) তারা চিংড়ি কিনতে সাবধান হন।

প্রথম ছবিতে আমার হাতে ধরা যে লোভনীয় চিংড়ি দেখছেন সেগুলোতে সিরিঞ্জ দিয়ে পানি ঢুকানো আছে, পরের ছবির চিংড়িগুলো অবশ্য কোন সমস্যা নেই।

তাই শুধু দাম নয় মানের কথা চিন্তা করুন, নির্ভরযোগ্যও বিশ্বস্ত মানুষের নিকট থেকে চিংড়ি নিন।
আপনাদের জন্যই বেটার ব্রান্ড নিয়ে আসছে ভেজালমুক্ত সুস্বাদু বাগদা চিংড়ি।
বেটার ব্রান্ড এর লিঙ্ক https://m.facebook.com/groups/640948006525093?ref=bookmarks
(মতামতের জন্য সম্পাদক দায়বদ্ধ নন)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ