ট্রেনিং প্রসঙ্গঃ
বর্তমান সরকার শিক্ষা বান্ধব সরকার। শিক্ষাকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিয়ে সরকার এ খাতের নানাবিধ উন্নয়ন করে যাচ্ছেন। এসডিজি লক্ষ্য মাত্রাকে সামনে রেখে শিক্ষা ক্যাডার কিভাবে এ অর্জনের অংশীদার হতে পারে সে বিষয়ে অধিকতর গবেষণা প্রয়োজন । এবিষয়ে ক্যাডার সদস্যদের নিয়ে সেমিনার, সিম্পোজিয়াম করাসহ ক্যাডার ব্যবস্থাপনায়ও কিছুটা পরিবর্তন আনা দরকার।যেমন-
♦শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তাদের মাধ্যমিক ও উচ্চ অধিদপ্তরে যোগদান করিয়ে কলেজের ক্লাসরুমে পাঠানোর আগেই অন্তত ১৫ দিনের বেসিক একটা ট্রেনিং করানো ।
♦এই ট্রেনিংয়ে সার্ভিস রুলস সম্পর্কে সীমিত ধারণা দেয়া সহ ও প্রাপ্ত বয়স্ক ছাত্রছাত্রীদের ক্লাসের প্রতি, বইয়ের প্রতি কিভাবে মনোযোগী করতে হয়, কিভাবে পড়াতে হয়, এবিষয়ে ধারণা দিয়েই কলেজে পাঠানো ।
♦এর যৌক্তিক দিক হচ্ছে, প্রত্যেক ক্যাডারেই যোগদানের সাথে সাথেই ট্রেনিং দেয়া হয়। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের নিয়ম শৃঙ্খলা, চাকরি বিধি, কাজের কৌশল সম্পর্কে ধারণা দেয়া হয়। আর জাতিকে শিক্ষিত করার দায়িত্ব যাদের দেয়া হয়, সেই শিক্ষা ক্যাডারদের বিনা প্রশিক্ষণে কি মাঠ পর্যায়ে ছেড়ে দেয়া উচিত?
♦ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল ট্রেনিং। ট্রেনিংই কেবল দক্ষ ক্যাডার কর্মকর্তা তৈরি করতে পারে।
♦♦ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, জননেত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন বাস্তবায়নে এসডিজি ২০৩০ এবং ভিশন ২০৪১ অর্জন করতে হলে দক্ষ ও প্রশিক্ষিত শিক্ষা ক্যাডারের বিকল্প নেই। যারা শিক্ষার সকল ক্ষেত্রে অবদান রাখবেন, শ্রেণি কক্ষে ও অফিস ব্যবস্থাপনায় সমান দক্ষ হবেন।
লিখেছেন – কাওছার আহমেদ, ৩০ তম বিসিএস (বিসিএস সাধারণ শিক্ষা)
Leave a Reply